নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলা হাইকোর্টকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (১১ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের তথ্য বলছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১৬৮টি। শ্রম আইনলঙ্ঘন, অর্থআত্মসাতের দুটি মামলা বাদে বাকিসবগুলোই আয়কর ও দানকর ফাঁকি সম্পর্কিত।
গত বছরের ২৫ জুলাই সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে কোষাগারে বকেয়া দানকর বাবদ ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা দেন নোবেলজয়ী ইউনূস। সাউথইস্ট ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেন তিনি।
রোববারও (১০ মার্চ) ২০১১ থেকে ২০১৩ অর্থবছরের কর বাবদ আরও ৫৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছেন তিনি। যদিও আপিল করার আইনি সুবিধা পেতে ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট রাজধানীর পল্লবীর রূপালী ব্যাংক শাখায় এ টাকা জমা দেয়।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ৭টি আয়কর রেফারেন্স মামলায় ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠানটিকে ছয়টি অর্থ বছরের জন্য এ আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে তথ্য বলছে ১৯৯৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নতুন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণে ১০০ মিলিয়ন ডলার সরানোর অভিযোগ উঠেছিল। টাকা ফেরত চেয়ে সে সময় দাতা দেশগুলো ইউনূসকে চাপ দেয়। চাপের মুখে অধ্যাপক ৩০ মিলিয়ন ডলার গ্রামীণ ব্যাংকে স্থানান্তর করেন।
তখন ইউনূস বলেছিলেন, ভবিষ্যতে কর না দিতেই টাকাগুলো গ্রামীণ কল্যাণে স্থানান্তর করেছিলেন তিনি। শেষ বিচারে এসে আইনি ফাঁক গলে বের হতে না পেরে, এখন একে একে কর পরিশোধ করতে হচ্ছে তাকে।
এস আর/
Discussion about this post