তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। সেইসঙ্গে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষে সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কমিশনের সহ-সভাপতি।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। তবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনো দ্বিমত নেই। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবেও রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু জায়গায় আইনজীবীদের মতামত নেওয়ার কথা অনেকে বলেছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন করার ব্যাপারে সবাই একমত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইসির অধীনে নেওয়ার জন্য অধিকাংশ দল একমত এবং নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে জনগণের মতামত জানতে বিবিএসের মাধ্যমে জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন প্রেরণের বিধান করতে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল। তবে, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনে বারিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন করার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দলগুলো। সেইসঙ্গে ভোট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একমত অধিকাংশ দল। পৃথক তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন করার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে অধিকাংশ দল।
এম এইচ/
Discussion about this post