সময়ের আলোচিত নাম চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসকও তিনি। সম্প্রতি আরেক নায়িকা তমা মির্জা এক মন্তব্যের জেরে মিষ্টিকে ১০ কোটি টাকার আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন।
যদিও মিষ্টি দাবি করেন তমা মির্জাকে নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি এবং তার কোনো প্রমাণও নেই। তবে তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশের কারণে ক্যারিয়ারে প্রভাব পড়েছে মিষ্টির। এরপর তমার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার আইনি নোটিশ পাঠান এই সুন্দরী। তাদের এ পাল্টাপাল্টি নোটিশে ইন্ডাস্ট্রি ও এর বাইরে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় তাদের দুজনকে ডেকে পাঠায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
সংগঠনের এফডিসিতে অবস্থিত স্টাডি রুমে দুজনকে নিয়ে বৈঠক বসে। সমিতির নেতারা দুজনের মধ্যকার সকল সমস্যার সমাধান করে দেন মুহূর্তেই। দুজনেই হাত ধরে হাসি মুখে ছবি তুলেন।
সমিতির সহসভাপতি ডি এ তায়েব বলেন, তমা-মিষ্টির মধ্যে ভিন্ন মতের কারণে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এই মনোমালিন্য দূর করতে তারা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির শরণাপন্ন হন। পরে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের উদ্যোগে ও কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়। এই বিষয়ে যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব।
তমা মির্জা বলেন, দিনশেষে আমরা শিল্পী। আমাদের অভিভাবক শিল্পী সমিতি। তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ শিল্পী সমিতিকে।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বাবা-মায়ের মতো অভিভাবক শিল্পী সমিতি। সমিতি আমাদের দ্বিতীয় পরিবার। তাদের উপস্থিতিতে সুন্দর সমাধান হয়েছে। তমা আপু আমার খুব কাছের। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছে। মূলত ইউটিউবারদের কারণে এই ভুল বোঝাবুঝি। আশা করব, ভবিষ্যতে ইউটিউবাররা আর উদ্ভট ক্যাপশন দেবেন না। অনুরোধ রইল। অভিভাবকদের কথামতো পুরো বিষয়ের দ্বন্দ্বের শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না, যাতে শিল্পীরা ছোট হয়। সমিতিকে ধন্যবাদ, এত সুন্দর সমাধানের জন্য।
টিবি
Discussion about this post