টহলের জন্য তাইওয়ান প্রণালীতে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ (ডেস্ট্রয়ার) ইউএসএস জন ফিন পাঠিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। গত ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, এই প্রথম তাইওয়ান প্রণালীতে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) যুদ্ধজাহাজটি প্রণালীতে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে দীর্ঘদিনকে ধরে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ নতুন করে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মার্কিন নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে জন ফিনের চলাচল সব জাতির নৌচলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।’
বিবৃতিতে মার্কিন নৌবাহিনী আরও বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো সদস্যকে তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা ছেড়ে দিতে ভয় দেখানো বা বাধ্য করা উচিত নয়।’
এদিকে চিনের সামরিক বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কিন সামরিক বাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিদ্বেষপূর্ণভাবে নষ্ট করার জন্য প্রায়ই উস্কানিমূলক কাজ করছে।’
স্বশাসিত ও গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে চীন। অঞ্চলটি চীনের সঙ্গে একীভূত হবে বলেও বিশ্বাস করে। আর সেটি করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করা হতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে হুঁশিয়ার করে আসছে চীন। এরই অংশ হিসেবে তাইওয়ানের জল ও আকাশসীমায় প্রায়ই যুদ্ধজাহাজ-যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে থাকে বেইজিং।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলে আসছে, চীন যদি কখনও তাইওয়ানে আক্রমণ চালায় তাহলে সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন।
এফএস/
Discussion about this post