আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এই আন্তর্জাতিক সপ্তাহ।
তারেক রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্তÍ বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। আমাদের হিসেবে উল্লিখিত গুমের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশী হবে। এদের মধ্যে অধিকাংশ এখনও নিখোঁজ, অনেকেরই মৃতদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমূনা। উল্লিখিত সংখ্যা গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি।
তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া ব্যক্তিদের ১০/১৫ বছরেও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশী শিকার হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী-কোন ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই গুম হওয়া মানুষদের অসহায় পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। আর কোন ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আমি আহবান জানান জানিয়ে তিনি বলেন, আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। রাজনৈতিক দর্শন বা রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী গুমের শিকার সকল ব্যক্তি ও পরিবারকে আমরা সমবেদনা জানান তারেক রহমান।
এম এইচ/
Discussion about this post