রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মিরপুর, মাটিকাটা, ভাসানটেক, ভাটারা, ও এর আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি। কিছুটা পানি আসলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য। ওয়াসা বলছে, এলাকাগুলোর ময়লা পানির বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তবে তাদের পরামর্শ অতিরিক্ত পানি ব্যবহার না করার।
প্রচণ্ড এ দাবদাহে চিকিৎসকরা যখন বেশি পানি পান আর গোসলের পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন গোসল দূরের কথা, সুপেয় পানিরই দেখা মিলছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তাতেও রয়েছে ময়লা আর দুর্গন্ধ।
অসহনীয় গরম দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এর মধ্যে আবার জীবন বাঁচানোর পানি সংকট। এমন চিত্র রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়। ভুক্তভোগীদের দাবি, বছরের অন্যান্য সময় কমবেশি পানির সংকট থাকলেও, এ বছর তীব্র দাবদাহের কারণে পানির সংকট তীব্র। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বয়স্ক, গৃহিণী ও শিশুদের।
আরও পড়ুনঃ এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভুক্তভোগীরা বলছেন, পানি পাওয়া যাচ্ছে না লাইনে । কার্ড দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে বা অন্য বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। অল্প পানি দিয়ে কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। এতে অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো গোসল করা যাচ্ছে না;পানি পান করা যাচ্ছে না; রান্নাবান্না করতেও অসুবিধা হচ্ছে।
তারা আরও বলছেন, দুর্গন্ধযুক্ত পানি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তা হয়। তারা নানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে।
সংকটের বিষয়টি আমলে নিয়ে সংস্থাটির দাবি, তীব্র গরমের কারণেই পানি সংকট। আর এ অবস্থায় এলাকার ভবন মালিকরা বাড়তি টাকা খরচ করে সাবমার্সিবল পাম্প লাগিয়ে নিজেদেরকে গরম থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুনঃ রবিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. সহিদউদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন,আপনার কাছ থেকে এখন বিষয়টি শুনলাম। নির্দিষ্ট জোন জানলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনি আমাকে এড্রেসটা দিলে আমার সুবিধা হয়। আমি বলব, এরকম এলাকায় তো এ জায়গায় এর আগেও ময়লা পানির সমস্যা ছিল, তোমরা কী ব্যবস্থা নিয়েছো? এই সংকটের জন্য আমরা আগেই ৬০টি টিউবওয়েল স্ট্যান্ডবাই হিসেবে করে রেখেছি। সেগুলো এখন অপারেশনে আছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ তো গোসল ২ বা ৩ বার করে। বাইরে গিয়ে ঘরে আসলেই গোসল করে। আবার প্যান্ট, গেঞ্জি ভেজায়। এগুলো আবার পানি দিয়ে ধোয়া লাগে। এ মুহূর্তে গাড়ি বা বাড়ির আঙ্গিনা ধোয়ার জন্য পানির পরিমিত ব্যবহার উচিত। একান্ত প্রয়োজন হলে বালতিতে পানি নিয়ে যেন গাড়ি বা বাড়ির আঙ্গিনা ধোয়া হয়।
এ এ/
Discussion about this post