আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা ও মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া এলাকায় গোলাগোলীর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এর আগে শনিবার রাত সোয়া ২টা থেকে টানা শত রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো। বাইশফাড়ি সীমান্তের বাসিন্দা মো. এরশাদ বলেন, দু’দিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলিতে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। সীমান্ত এলাকায় কাজকর্ম করতে ভয় লাগছে।
তবে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সাতটি স্কুল এখনও খোলেনি। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হলে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের মাধ্যমে বন্ধ স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হুসাইনি।
সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর হাতছাড়া হওয়া আরকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে গুলি ছোড়া হলে প্রতিপক্ষ অপর বিদ্রোহীরা তাদের ওপর পাল্টা গুলি চালায়। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আবরও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তার এলাকার হাজারও মানুষ। তবে লোকজন কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ এস/
Discussion about this post