এবারের আন্তর্জাতিক সূচিতে ভুটানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে হাভিয়ের কাবরেরা বলেছিলেন, প্রায় তিন মাস মাঠের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের শুরুতেই কঠিন প্রতিপক্ষের মুখে ফেলতে চাননি তিনি। তা ছাড়া ভুটানের বিপক্ষে সব সময় জেতার একটা মানসিকতা দেখেছেন তিনি দলের ভেতর। সে সবই ঠিক আছে। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৪ দেখার ১১টিতেই জিতেছে, দুটি ড্র।
ভুটানের রাজধানীর নয়ানাভিরাম স্টেডিয়ামটিতে ২০১৬ সালে সেই একবারই খেলেছিল বাংলাদেশ। দুই দলের আগের সব সাক্ষাৎ হয়েছিল হয় ঢাকায়, নয়তো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তাতে ভুটানিদের বরাবরই ‘পুঁচকে’ জ্ঞান করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
২০১৬ সালের হার তাই বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ ছিল বলে হারের পর প্রায় দুই বছর ফিফা-এএফসির আর কোনো ম্যাচও পায়নি বাংলাদেশ। থিম্পু তাই বাড়তি চ্যালেঞ্জ মানতেই হবে। কাবরেরা এবার দল নিয়ে যাওয়ার শুরু থেকেই শহরটির প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফুট উচ্চতার চ্যালেঞ্জের কথা বলছিলেন। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ফুটবলাররা ম্যাচ প্রস্তুতির পাশাপাশি উচ্চতাজনিত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার বিষয়টি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।
কাবরেরা দল নিয়ে পাহাড়ে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন যেন দমের সমস্যা কাটানো যায়। ২০১৬ সালে টম সেইন্টফিটের দল এটা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিল বলে জানা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের হার নিয়ে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরসালিনরা ভুটান দল ও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাঠের উচ্চতা—দুটি বিষয় নিয়ে পূর্ণ সচেতন হয়েই মাঠে নামছেন। ভুটানের খেলোয়াড়রা লিগের মাঝপথে এই ম্যাচ দুটি (৫ ও ৮ সেপ্টেম্বরর) খেলছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থিম্পুতে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে জামাল-তপুরা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এই দুই ম্যাচ জিতে র্যাংকিংয়ে উন্নতি করলে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।
এ ইউ/
Discussion about this post