রাশিয়া-বেলারুশ সীমান্তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও আফগান অভিবাসীদের পাচারে জড়িত একটি চক্র ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি করেছে লাটভিয়া কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা লাটভিয়ার নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার (২৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লাটভিয়ার বর্ডার গার্ড জানিয়েছে, একাধিক অভিযানে চার লাটভিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তারা ২৭ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে লাটভিয়ার ভূখণ্ডে বেআইনিভাবে প্রবেশে সহায়তা করেছিলেন অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় পূর্ব লাটভিয়ার অগসদাউগাভা কাউন্টিতে। ওই সময় সীমান্তরক্ষীরা একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ১৬ নাগরিককে উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন পাকিস্তানের, দুজন আফগানিস্তানের এবং একজন ভারতীয় নাগরিক। তাদের কাছে কোনো ধরনের বৈধ ভিসা বা ভ্রমণনথি ছিল না। এসময় লাটভিয়ান গাড়িচালককেও আটক করা হয়।
এই অভিযানের কিছুক্ষণ পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা সীমান্তে অনিয়মিত অভিবাসীদের সহায়তা প্রদানের সন্দেহে অগসদাউগাভা কাউন্টির একটি বাড়ি থেকে আরও দুই লাটভিয়ান নাগরিককে আটক করেন।
ওই বাড়িতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আরও ১১ নাগরিককে খুঁজে পায় কর্তৃপক্ষ। তাদের পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়িটির নিচের অংশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।লাটভিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান মারিস পুকিনস্কিস ইউরো নিউজকে বলেন, অভিবাসীরা তালাবদ্ধ ছিল। তদন্তের সময় আমরা জানতে পেরেছি, অপরাধীরা অভিবাসীদের ফোন এবং টাকা চুরি করেছিল।
অপরদিকে, দেশটির পূর্ব কালুপে অঞ্চলের একটি খামারে অভিযান চালিয়ে আরও দুই লাটভিয়ান নাগরিককে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তারা অভিবাসী পাচারে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এস এম/
Discussion about this post