দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। অবশ্য বিমান বিধ্বস্ত হলেও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ১৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গুনসানের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণ মহড়ার জন্য উড্ডয়ন করে। একপর্যায়ে সেটি পীত সাগরে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার আগেই পাইলট জরুরি বর্হিগমনের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হোন। পরে তাকে দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উদ্ধার করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই বার্তাসংস্থাটি পীত সাগরের কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘যুদ্ধবিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ১৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গুনসানের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। একপর্যায়ে পরে সেটি (পীত সাগরের) পানিতে বিধ্বস্ত হয়।’
ইউনিট কমান্ডার কর্নেল ম্যাথিউ গেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পাইলটকে উদ্ধারের ঘটনায় তিনি কৃতজ্ঞ। বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ভালো অবস্থায় আছেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত আমেরিকান সৈন্যদের তত্ত্বাবধান করে থাকে ইউনাইটেড স্টেটস ফোর্সেস কোরিয়া।
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সেসময়ও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং দুর্ঘটনায় অন্য কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার যে বিমান ঘাঁটির কাছে মার্কিন ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, সেটি সিউলের চিরবৈরী প্রতিপক্ষ ও পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে কাছে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি। এটির অবস্থান উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৬৪ কিলোমিটার দূরে।
এএফপি বলছে, ওয়াশিংটন হচ্ছে সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র। পারমাণবিক ক্ষমতাশালী উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরের শেষের দিকে জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপের উপকূলে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। সিভি-২২ ওসপ্রে মডেলের সেই বিধ্বস্তের যুদ্ধবিমানঘটনায় ৬ মার্কিন সেনা নিহত হন।
Discussion about this post