লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার বলেছেন, ইতালির সীমান্তে সাগরপথে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে দালাল ধরে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে। এই প্রবণতা আগের চেয়ে কমেছে, তবে পুরোপুরি বন্ধ হতে সময় লাগবে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কেউ যেন না বুঝে দালালের মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশে লিবিয়ায় না আসে। এ বিষয়ে দেশের জনগণকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সতর্ক হতে হবে। শুধু লিবিয়া বা ইতালিতে মানব পাচারকারীদের ধরলে হবে না। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে লিবিয়া হয়ে ইতালিযাত্রা অনিশ্চয়তা এবং বিপজ্জনক। নৌকাডুবিতে প্রাণহানির পাশাপাশি অনেকেই মানবপাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। প্রায়ই শোনা যায় কারো কারো মুক্তিপণ দিয়ে ফেরার গল্প। মানবপাচার ও অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। এখানে মিশর-আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ জড়িত। এসব দেশ একসঙ্গে কাজ না করলে বাংলাদেশ বা লিবিয়ার পক্ষে এটা বন্ধ করা কঠিন।
মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার বলেন, লিবিয়ায় মানবপাচারের বিপরীতে ভিন্ন গল্পও আছে। সেখানে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা আছে। বিশেষ করে ডাক্তার ও নার্সদের বেতন ভালো। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশঅ
টিবি
Discussion about this post