জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে কিরগিজস্তান গিয়ে কাজ না পাওয়ায় হতাশায় মৃত্যু হয় হায়দার মোল্যার বলে পরিবারের অভিযোগ। হায়দার মোল্যার বাড়ি নড়াইল জেলার সদর উপজেলায়। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল মাসে ট্রাভেল এজেন্সি ও দালাল কৌশলে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্রে সেলফ (সকল দায়দায়িত্ব নিজের) দেখিয়ে কিরগিজস্তানে পাঠান হায়দারকে।
সেখানে গিয়ে কাজ না পাওয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন হায়দার। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হায়দার। এদিকে এক মাসের এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর ভিসা নবায়ন করেননি দালাল চক্র। সেকারণে অসুস্থ হওয়ার পরেও কোন চিকিৎসা পায়নি হায়দার। একপর্যায়ে গত ৩ জুন মৃত হয় হায়দারের। হায়দারের মরদেহ সেদেশের ৮ নং সরকারি হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণ রয়েছে।
হায়দারের মরদেহ দেশে আনতে পরিবার ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেন। কিরগিজস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস বা শ্রম শাখা না থাকার কারনে গত ৫ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ড কিন্তু আজ দেড় মাসেও দেশে ফেরেনি হায়দার মোল্যার মরদেহ।
এদিকে কৌশলে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্রে সেলফ (ভিসা ও কাজের সকল দায়দায়িত্ব কর্মীর নিজের) ব্যবহার করে ধরাছোঁয়ার বাইরে ট্রাভেল এজেন্সি ও দালাল চক্র। হায়দার মরদেহ দেশে ফেরত আনতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বজনরা। মৃতের পরিবার বলেন কাজ না দিতে পারার কারনে মৃত্যু হয় হায়দারের। পরিবারের দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি খরচে হায়দার মরদেহ দেশে আনাসহ এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিচার চাই তাঁরা।
এ এস/
Discussion about this post