প্রায় দেড় মাস আগে লক্ষ্মীপুরে বন্যা হয়েছে। এক মাসের মাথায় বেশিরভাগ এলাকার পানি নেমে গেলেও কিছু কিছু এলাকার পানি এখনো নামেনি।
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতায় রয়েছেন ২০ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রশাসন এই তথ্য জানিয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে পানিবন্দির সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়ে প্রায় এক ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচল কম ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ভুলুয়া নদী সংশ্লিষ্ট বিস্তির্ণ জনপদ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তখন লক্ষ্মীপুর সদরের পূর্বাঞ্চল ও রামগঞ্জেও কয়েকটি ইউনিয়ন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
এরপর ২২ আগস্ট থেকে নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরে ঢুকতে শুরু করে। এ বন্যার পানিতে প্রথমদিকে পুরো লক্ষ্মীপুরে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও ৫-৬ ফুট পানিতে বন্দি ছিল মানুষ। এখনো সদরের পূর্বাঞ্চল, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ ও রামগতির কয়েকটি ইউনিয়নে এখনো ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫০ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার বলেন, জলাবদ্ধতা হওয়ার বড় কারণ হচ্ছে, এখানে পানির অবাধ প্রবাহ ছিল না। বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েও অনেকে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো বলেন, পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩টি স্থানে রহমতখালী খাল পরিস্কার অভিযান হচ্ছে। এ ছাড়া একযোগে রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভাতেও খাল পরিস্কার অভিযান করা হচ্ছে।
এ ইউ/
Discussion about this post