সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দেশের পথে রওনা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১২ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে জাহাজটি।
মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেরার সময় জিম্মি জাহাজটি এবার দেশের পথে বহন করছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি প্যারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করছিল। আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে বলে জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং আশা করছে।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার
এর আগে গত শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস করে মিনা সাকার বন্দরে যায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকেই ৫৬ হাজার মেট্রিক টন জাহাজিকরণ করা হয়। চুনাপাথরের চালানটি চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর জাহাজটি ছিনতাই করে জলদস্যুরা ১৪ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়।
সোমালিয়ান উপকূলে দীর্ঘ প্রায় ১ মাসের বেশি সময় জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল মুক্ত হন নাবিকরা। মুক্তিপণ দেওয়ার পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপর মুক্ত হন ২৩ নাবিক। ছাড়া পাওয়ার পরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নিরাপত্তায় যায়। জাহাজটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সোমালিয়ান সমুদ্র উপকূল পাড়ি দিয়ে ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছায়।
টিবি
Discussion about this post