বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, মানুষকে যদি কেউ বলে যে, তুমি কি পোলাও-কোরমা চাও না কি, তুমি ভোট দিতে চাও। তখন বাংলাদেশের মানুষ বলবে, আমি ভোট দিতে চাই। না খেয়ে থাকলে অসুবিধা নেই।
সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে কী কথা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে চায়।
নতুন প্রজন্ম যারা দীর্ঘ ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, বাংলাদেশের কোটি-কোটি মানুষ তারা ভোট দিতে চায়। কাজেই ভোটের ব্যাপারে যখন একটা নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, যখন বলা হয় যে নির্বাচন কমিশন তাদের দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো বাংলাদেশের মানুষ উচ্ছ্বসিত হয়ে যায়। আমি খোলাখুলি বলছি, যে আমি তো গ্রামে ছিলাম, আমি দেখেছি মানুষের উচ্ছ্বাস। আমার মনে হয় সারাদেশে সেটাই ছিল।
আবদুল মঈন খান বলেন, ১৩ জুন একটি মিটিং হয়েছে। এটা অবাক কাণ্ড আমি ড. ইউনূস সাহেবের সঙ্গে দেখা করে বলেছি আপনি শুধু নির্বাচনের দিনটি ঘোষণা দেন দেখবেন, বাংলাদেশের সব সমস্যা একদিনে দূর হয়ে যাবে। ১৩ জুনের পর থেকে বাংলাদেশের একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যে যেই কথাই বলুক না কেন। মানুষ এখন উৎসাহী, সামনের দিকে তাকাচ্ছে। মানুষ সেখানে চিন্তা করছে যে দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই গণতন্ত্রের জন্যই তো বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। একাত্তরে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্র প্রয়োজন এবং গণতান্ত্রিক যে প্রতিষ্ঠান, সেগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে। শক্তিশালী করতে হবে। যাতে মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার এদেশে প্রয়োগ করতে পারে।
এম এইচ/
Discussion about this post