ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মূল চালিকা শক্তি হলো- কৃষি, প্রযুক্তি, পোশাক এবং প্রবাসীরা। বুধবার (৬ মার্চ) সিংড়া উপজেলায় আয়োজিত কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংরক্ষণাগারের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ৪টি উৎস থেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকাংশ আয় বা রাজস্ব অর্জিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের ভিত্তিতে কৃষি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেই সোনার বাংলার অসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন সফল করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমাদের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা সময় মতো ন্যায্যমূল্যে সার, তেল, বীজ ও বিদ্যুৎসহ সবকিছুতে সহযোগিতা পাচ্ছে বলেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটি কৃষি শ্রমিক রয়েছে যারা মাঠে সোনার ফসল ফলাচ্ছে, মৎস্য চাষিরা মাছের চাহিদা মিটাচ্ছে। এ ছাড়া দেশে পোল্ট্রি শিল্প এবং ডেইরি শিল্প গড়ে উঠেছে। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির প্রভাবে বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১৬ লক্ষ কৃষি শ্রমিক কমে যাচ্ছে। ফলে কৃষি শ্রমিকের বিরাট একটা চাহিদা তৈরি হচ্ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যতীত এই চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি ও ভর্তুকি প্রদান করছেন। বিগত ১৫ বছরে সিংড়ায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার খাল ও ১০০ কিলোমিটার নদী খনন করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের জন্য যেমন বিনামূল্যে সেচের ব্যবস্থা হয়েছে পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্যও মৎস্যচাষের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, সিংড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ গবেষণা কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং শস্য ও মৎস্যভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে।
এ এস/
Discussion about this post