বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশীর মধ্যে তিন দফায় আরও ১০ জন চট্টগ্রামে ফিরেছে।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর বলেন, বিমানবন্দরে আসা শ্রমিকদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।
৮ সেপ্টেম্বর সকালে ইউ এস বাংলা ফ্লাইটে একজন এবং ৯ সেপ্টেম্বর বিমানের বিকালের ফ্লাইটে শারজা হতে দুইজন এবং এয়ার আরাবিয়া আবুধাবি ফ্লাইটে সন্ধ্যায় আরও সাতজন অবতরণ করেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মোট ২২ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।
এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর সকালে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। দণ্ডিত ওই ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২২ জুলাই আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আমিরাতি নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম)এ তথ্য জানিয়ে বলেছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।
এম এইচ/
Discussion about this post