জো বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার পর আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে। কমলা হ্যারিস আসার পর ডেমোক্র্যাট শিবিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেকাংশে বেড়েছে। সবশেষ জরিপর অনুযায়ী দোদুল্যমান চারটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কমলা।
রোববার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি-ইপসস পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা।
জরিপ অনুযায়ী, যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যে বাইডেনকে সহজেই হারানোর সম্ভাবনা ছিল ট্রাম্পের, সেসব অঙ্গরাজ্যে সমর্থনের দিক থেকে এখন কাছাকাছি অবস্থানে আছেন ট্রাম্প ও কমলা।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজ-ইপসোস জরিপের বলছে, কমলার জনসমর্থন ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, কিছুটা পিছিয়ে ট্রাম্পের সমর্থন ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
জরিপের ফলে বলা হয়, ট্রাম্পের ওপর একটি সংকীর্ণ লিডে রয়েছেন কমলা। নির্বাচনের দৌড়ে ডেমোক্র্যাটদের জন্য চার পয়েন্ট লিড একটি ছোট কিন্তু উল্লেখযোগ্য উন্নতি।
জরিপের ফলাফলে তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত করা হলে দেখা গেছে, কমলা ৪৭ শতাংশ, ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ এবং রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ৫ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন।
যদিও গত জুলাইয়ে জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প ৪৩ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর তখনকার ডেমোক্রেট প্রার্থী বাইডেনের সমর্থন ছিল ৪২ শতাংশ এবং কেনেডি ৯ শতাংশ নিয়ে এগিয়ে ছিলেন।
এদিকে রোববার পরপর কয়েকটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এদিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরোক্ষভাবে কাপুরুষ বলেন কমলা। ট্রাম্পের নাম না নিলেও কমলার অভিযোগ আগামী ৫ তারিখের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর রাজনীতিই হলো অন্যকে পরাস্ত করা।
এই অঙ্গরাজ্যেই শনিবার সমাবেশ করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলাকে আক্রমণ করেন বামপন্থি ও উন্মাদ বলে। এমনকি টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে হ্যারিসের ছবির সমালোচনা করে বলেন, কমলার চেয়ে প্রচ্ছদে তাকে বেশি সুন্দর দেখায়।
ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের পাশাপাশি রিপাবলিকান সমর্থকরাও এমন বক্তব্যের সমালোচনা করছেন। তাদের দাবি, এসব মন্তব্যের কারণে হিতে বিপরীত হতে পারে।
অন্যদিকে স্থানীয় সময় সোমবার শিকাগোতে শুরু হচ্ছে ডেমোক্রেট দলের জাতীয় সম্মেলন। এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চারদিনের এই সম্মেলনেই আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করা হবে। যেখানো উপস্থিত থাকবেন শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে হাজারো ডেমোক্র্যাট সমর্থক।
এ ইউ/
Discussion about this post