মো. নাহিদ ইসলাম, কাতার,
কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দোহা এক্সপো কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ০৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে দোহা হর্টিকালচার এক্সপোতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দোহা এক্সপো এর কমিশনার জেনারেল রাষ্ট্রদূত বদর বিন ওমর আল দাফা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ, কূটনীতিক কোরের সদস্য, এক্সপোতে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন দেশের কমিশনার জেনারেল ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কাতার ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সহিত কাতার ও বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধমে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অতঃপর মান্যবর রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর মাননীয় প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আগত সৃষ্টি সাংস্কৃতিক সংঘের অংশগ্রহনে একটি মনোজ্ঞ নৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে তার ঐতিহাসিক অবদানের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন। তিনি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদসহ মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো মা-বোন এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বিগত এক দশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ও উন্নত দেশে রূপান্তর করতে সরকারের বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তিনি হর্টিকালচার বিষয়ে বাংলাদেশের অর্জন বিশেষ করে কৃষি পণ্য এবং মৎস্য ও গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম কাতারের মহামান্য আমিরের নেতৃত্বে উন্নয়ন, কূটনীতি, ক্রীড়া এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশিীলতার ক্ষেত্রে কাতারের অনুকরণীয় সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাতারে নিরাপদ অবস্থান ও অব্যাহত সহযোগিতার জন্য দেশটির আমির ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত দোহা হর্টিকালচার এক্সপো সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে হর্টিকালচার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকল্প ও তথ্যাবলী উপস্থাপনের জন্য মহামান্য আমির ও কাতার সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দোহা হর্টিকালচার এক্সপো এর মাধ্যমে কাতার সহ অংশগ্রহণকারী সকল দেশ বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
মাননীয় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশকে জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে দোহা এক্সপোতে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ গঠনে তাঁর অবদানের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান ভাতৃপ্রতিম সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে হর্টিকালাচার বিষয়ে দেশ দুটি এক সাথে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হতে আগত সৃষ্টি সাংস্কৃতিক সংঘ বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস, মহান স্বাধীনতা, উন্নয়ন, ঐতিহ্য, দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিল্প ও সংস্কৃতি উপস্থাপন করে মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন। মাননীয় প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ এক্সপোতে অবস্থিত বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন সফর করেন। এ সময় ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পিঠা দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
এস আর/
Discussion about this post