অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে সম্মান ক্ষুণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সহকারী ইকরামুল হক।
সামাজিক মাধ্যমে ধর্ম উপদেষ্টার নামে খোলা একটি আইডিতে জানানো হয়— আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে সব ধরনের পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ। ধর্ম উপদেষ্টা আসলেও এমন কোনো পোস্ট দিয়েছেন কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার একান্ত সহকারী জানান, বিষয়টি ভুয়া।
তারা আরও জানান, পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ, হজ-ওমরার খরচ কমানোসহ বেশকিছু ভুয়া পোস্ট দেওয়া হয়েছে ধর্ম উপদেষ্টার নামে। এর মাধ্যমে একটি শ্রেণী ধর্ম উপদেষ্টার সুনাম ক্ষুণ করার চেষ্টা করছেন। ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যের জন্য তার ব্যক্তিগত আইডি ও ফেসবুক পেইজের পোস্ট ফলো করা উচিত।
একাধিক ও ভুয়া আইডির বিড়ম্বনা এড়াতে দ্রুতই ধর্ম উপদেষ্টার ব্যক্তিগত আইডি ভেরিফায়েড করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যায় এবং আইডি ভেরিফায়েডের আগ পর্যন্ত সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের নামে খোলা একটি ফেসবুক আইডির পোস্টের মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ‘আগামী ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে বাংলাদেশে সকল পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ হাইকোর্টের নির্দেশনায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, পরবর্তী ছয় মাসের জন্য সকল পর্নোগ্রাফি সাইট ব্লক থাকবে। মূলত যুবসমাজের নৈতিক ও মানসিক বিকাশ সুরক্ষার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) ইতিমধ্যেই এই নির্দেশনা কার্যকর করতে শুরু করেছে।
পোস্টের কমেন্টে আইডির পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, ‘পর্নোগ্রাফি সাইটগুলি ছয় মাসের জন্য ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মূলত প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে।এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে আমরা এই সময়কালে পর্নোগ্রাফি সাইটগুলির প্রভাব মূল্যায়ন করতে পারি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নিতে পারি। এছাড়াও, এই ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পর্নোগ্রাফি সাইটগুলি এবং অন্যান্য অশ্লীল সামগ্রী বন্ধ করার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার পরে, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে পারি, যেমন স্থায়ীভাবে সাইটগুলি ব্লক করা।
এই পোস্টে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই পোস্ট ভুয়া বুঝতে পেরে অন্যদের সচেতন করেছেন। অনেকে আবার পোস্টটি সত্য মনে করে শেয়ার করেছেন। তবে এই পোস্ট সম্পূর্ণ ভুয়া এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টিও ধর্ম উপদেষ্টার নয় বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ ঢাকাপোস্ট
এস আই/
Discussion about this post