আবার ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ঝড়। এই টাইফুনের নাম ক্রাথন। গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১৫ কিমি। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, এই ঝড়ে উড়ে যেতে পারে বাড়ির ছাদও। তাই আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে। প্রবল বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস নিয়ে এটি আগামীকাল বুধবার (০২ অক্টোবর) তাইওয়ানের উপকূল আঁচড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঝড়ের কবলে পড়তে চলেছে তাইওয়ান, ফিলিপিন। এদিকে কাগায়ান ও বাটানেস প্রদেশের বালিন্টাং দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে দেখা গেছে।বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) টাইফুন ক্রাথনের সতর্কতা জারি করেছে। একে ক্যাটাগরি-৪ হারিকেনের মতো শক্তিশালী উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস নিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ পশ্চিম উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন (সিডব্লিউএ) বলেছে, ক্রাথন বুধবার বিকেলে প্রধান বন্দর শহর কাওশিউংয়ে আঘাত হানবে। পরে উত্তর-পূর্ব দিকে তাইওয়ানের কেন্দ্র দিয়ে পূর্ব চীন সাগরে প্রবেশ করবে। ট্রপিক্যাল স্টর্ম রিস্ক অনুসারে, এটি কেন্দ্রের কাছে ২১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (১২৫ মাইল) এর বেশি বেগে বয়ে যেতে পারে।
এই ঝড়ের কারণে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ, সাগর থেকে নৌকা সরিয়ে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এত সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কাগায়ান ও বাটানেস প্রদেশের বালিন্টাং দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবারই তাইওয়ানের আছড়ে পড়বে এই ঝড়। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান সরকারের। এই ঝড় এত শক্তিশালী যে ছাদ উড়িয়ে দিতে পারে, গাছ উপড়ে পড়তে পারে, কৃষির ক্ষতি করবে বলে অনুমান।ঝড়ের প্রভাবে কাগায়ান প্রদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে এবং শত শত গ্রামবাসীকে উপকূলীয় ও বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাইওয়ানের দূরবর্তী দ্বীপ অভিমুখে চলাচল করা নৌযানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
এস এম/
Discussion about this post