নড়াইলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মারা গেছেন। ঘটনার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল বিষয়টি আলোচনায় এলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্বজনদের দাবি, মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য (৫২) মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে টিসিবির মালামাল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাওনা টাকার জন্য রাজিবুল নামে এক ব্যক্তি ফোনে ডেকে নেন তাকে। এর পর মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে থাকা রাজিবুলের কাছে গেলে কয়েকজন তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ভিক্টিম ঘটনাটি সবাইকে জানানোর হুমকি দিলে তৎক্ষণাৎ মুখে বিষ ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি ভুক্তভোগী। পরের দিন বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি।
মৃত্যুর আগে ছেলের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলে গেছেন তিনি। নিহতের ছেলে গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার কাছে মা দুজনের নাম বলে গেছেন। রজিবুল ও ওসমানের বড় ছেলেসহ (নাম অজ্ঞাত) আরও অনেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
মাইজপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্তার মোল্যা বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি ভুক্তভোগী নারী সদস্যের পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি। এ ছাড়া যে বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে তারাও বিষয়টির ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন বলেও আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মত দেন তিনি।’
জানতে চাইলে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন,‘ এক নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
এস এইচ/
Discussion about this post