নতুন বছরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তাঁর মাতৃভূমি এক হবেই। নিশ্চিতভাবেই চীন ও তাইওয়ানের ঐক্য হবে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছরের বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে তাইওয়ান নিয়ে শি জিনপিংয়ের এই মন্তব্য রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, নতুন বছরে তাইওয়ানের ওপর চীন সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে চাপ দিয়ে যাবে।
এর আগে শি বলেছিলেন, দরকার হলে শক্তি ব্যবহার করে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করা হবে। মাস কয়েক আগে তাইওয়ানের কাছে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল।
চীনা প্রেসিডেন্ট এখন বলছেন, তাইওয়ান খাঁড়ির দুই পাশে থাকা স্বদেশবাসী নিঃসন্দেহে জাতীয় নবজীবনের গৌরব ভাগ করে নেবেন।
চীন মনে করে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন ও ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির শীর্ষনেতা লাই বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব নিয়ে আছেন। তাঁরা তাইওয়ানে হামলা করার জন্য চীনকে উসকানি দিচ্ছেন।
তাইওয়ানের নেতাদের অভিযোগ, চীন তাঁদের দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে এবং ভুল তথ্য প্রচার করছে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে শি জিনপিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নতুন বছরে চীনের অর্থনীতি বৃদ্ধি হবে। সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, কোভিডের পর চীনে বেকার বেড়েছে, চীন ঋণের সংকটে পড়েছে, এর ফলে অর্থনীতির ওপর চাপও বেড়েছে।
তবে শি বলেছেন, চীনের অর্থনীতি করোনার ঝড় সামলে নিয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, লিথিয়াম ব্যাটারি, সৌর প্যানেলের ব্যবসায় গতি এসেছে।
অবশ্য তিনি এ–ও বলেছেন, সবাই এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লাভ পাচ্ছেন না। কিছু মানুষ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব বিষয় আমাকে উদ্বেগে রেখেছে। আমাদের লক্ষ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কিন্তু খুবই সরল। আমাদের মানুষের জীবনধারণের মান বাড়াতে হবে।’
২০২৩ সালে চীনের জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ। ২০১০ সাল ও এর পরবর্তী বছরের তুলনায় এই হার অনেকটাই কম। আগামী বছরও একই ধরনের প্রবৃদ্ধি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এফএস/
Discussion about this post