২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া যেসব নাগরিক এখনো ভোটার হননি, তাদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য তাদের নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। এবার নতুনদের ভোটার হতে কী কী লাগবে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ভোটার হতে যেসব কাগজপত্র লাগবে–
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
২. জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
৩. নিকট আত্মীয়ের (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি
৪. এসএসসি/দাখিল/সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি/চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)
এর আগে, এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২ জানুয়ারির আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ভুল সংশোধন করতে অনুরোধ জানিয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি “সংশোধন” করে সোমবার গণমাধ্যমে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসি।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে, তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন, তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করে ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। প্রতিবছর ২ জানুয়ারি তার আগের বছরের তথ্য নিয়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করে ইসি। তালিকা নিয়ে দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ২ মার্চ প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। আগামী ২ মার্চ এ বছরের তথ্য নিয়ে হালনাগাদ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইসি আরও জানায়, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
এ ইউ/
Discussion about this post