কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নদী ভাঙ্গনের কারণে মৃত্যুর ৮ বছর পর কবর থেকে এক ব্যক্তির কাফনের কাপড়সহ অক্ষত লাশ বের হয়ে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া গ্রামের কালিরহাট পাঁচ মাথা এলাকায়।
জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম মহেজ আলী। তিনি সোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া গ্রামের কালিরহাট পাঁচ মাথা এলাকার মৃত জপির মন্ডলের ছেলে এবং সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আকবর আলীর বাবা।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আকবর আলী বলেন, “আমার বাবা ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান। আমাদের বাড়ির পাশেই বাবাকে দাফন করা হয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে আমাদের বসতভিটা নদীতে চলে গেলে আমরা সপরিবারে কালিরহাট বাজারের পাশে নতুন করে বাড়ি করি। শুধু বাবার কবরটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বাকি ছিল।“
তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে খবর পাই বাবার কবর নদে ভেঙে যাচ্ছে। এসে দেখি বাবার কবরের অর্ধেক ভেঙে গেছে এবং কবরের ভিতরে সাদা কাপড় দেখা যাচ্ছে। পরে আমরা কাফনের কাপড়সহ বাবার অক্ষত মরদেহ তুলে নিয়ে আসি। এরপর মসজিদের ইমামের পরামর্শে দাফন করি। আমার বাবা নিয়মিত জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন এবং ইসলামি অনুশাসন মেনে চলতেন।“
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক ও কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুল আলম জানান, “মহান আল্লাহর খালেছ বান্দাদের অক্ষত লাশ পাওয়ার বিষয়ে অনেক খবর আমরা পাই। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন ‘ যারা আল্লাহর রাস্তায় মারা যায়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত এবং কবরে আল্লাহ তাদের রিজিক দেন। তাই এটি অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়। এই সব লাশ জানাজা ছাড়াই দাফন করতে হয়। তবে কেউ যদি পুনরায় জানাজা করতে চায় তাতেও কোন সমস্যা নাই।“
সোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম লিটন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “আমি শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পুনরায় লাশ মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।“
এন এন/
Discussion about this post