চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সংযুক্ত হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। এই হুঁশিয়ারি দিয়েই নতুন বছর শুরু করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার রাতে বর্ষবরণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ই একথা বলেছেন তিনি।
এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিকে থাকা চিনা মানুষেরা একই পরিবারের অংশ। আমাদের রক্তের বন্ধন কেউ ছিন্ন করতে পারে না। মাতৃভূমির পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক ধারাকেও থামাতে পারবে না।’ এই তাইওয়ান প্রণালীই মূলত চীন ও তাইওয়ানকে আলাদা করেছে। যদিও তাইওয়ানকে দীর্ঘদিন ধরেই চীনের অংশ বলে দাবি করে আসছে বেজিং। যদিও তা মানতে নারাজ তাইপেই। বেজিং ও তাইপেই একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথের প্রতিনিধিত্ব করে। তাইওয়ান হল গণতান্ত্রিক, অন্যদিকে চীন হল একটি কমিউনিস্ট দেশ। তবে বেজিং সম্প্রতি তাইপেইয়ের উপর চাপ বাড়িয়েছে। এমনকি দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বাকি বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন করার সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। গত বছরের মে মাসে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর তিন দফায় বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বল প্রয়োগ বন্ধ করা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চীন একাধিকবার তাইওয়ানের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করেছে।
প্রসঙ্গত, বেজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বিরোধের অন্যতম মূল বিষয় হল তাইওয়ান। কারণ তাইওয়ান হল এশিয়ার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র। অন্যদিকে তাইওয়ানকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে আমেরিকা। সম্প্রতি তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তার কথাও ঘোষণা করেছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। এদিকে আর কিছুদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে চীনের প্রেসিডেন্টের তাইওয়ান দখলের এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ ইউ/
Discussion about this post