সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর শেষে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার, আগের বছরের একই মাসের চেয়ে যা ২১ শতাংশ বেশি।
রোববার(৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে রেমিটেন্স বেশি এসেছে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। ২০২২ সালের নভেম্বর শেষে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
শুধু একক মাস নয়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এই পাঁচ মাসে তারা পাঠিয়েছেন ৮৮১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের এ সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৮৭৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে আগের অর্থবছরের পাঁচ মাসের তুলনায় এবার রেমিটেন্স বেড়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।তবে অর্থবছরের প্রথম মাস শেষেই রেমিটেন্সে বড় ধাক্কা লাগে। গত জুলাইতে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পর বৈধ চ্যানেলে অগাস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে।
প্রণোদনা বাড়ানোসহ ডলারের দাম বাড়ায় অক্টোবরে তা ঘুরে দাঁড়ায়। ওই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩০ শতাংশ। পরের মাস নভেম্বরে রেমিটেন্স বাড়লেও তা আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে চার কোটি ৭৫ লাখ ডলার কম।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে ডলার দর বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।পাশাপাশি প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
এদিকে, গত ৩০ নভেম্বর শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে বিপিএম ৬ হিসাবে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে তা ২৫ বিলিয়ন ডলার।
Discussion about this post