টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী খান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের সাফর্তা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মেহেদী খান ওই গ্রামের লিটন খানের ছেলে। গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় মির্জাপুরের একটি গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার একটি গ্রামে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী সাফর্তা গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে আসেন। ২৭ জুন সন্ধ্যার আগে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মেহেদী খান তাদের পথ রোধ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।
ভয়ে সঙ্গে থাকা বান্ধবী পালিয়ে যান। এরপর মেহেদী ওই ছাত্রীকে জোর করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার থকে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেহেদী খানকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (৫ জুলাই) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে মেহেদী খান ওই স্কুল ছাত্রীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মেহেদী হাত ধরে টানা-হেঁচড়ার পর আত্মগোপনে যায়। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও মেহেদী খান পলাতক থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সামাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মেয়েটির পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে সাফর্তা গ্রামের কয়েকজন জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ কালেরকন্ঠ
এস এইচ/
Discussion about this post