নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন সেলি বেগম (৩৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) চিকিৎসাধীন সেলির মৃত্যু হয়। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মারা যায় বাবুল মিয়া (৪০), মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬ টার দিকে ইসমাইল (১১), সকাল ৯টার দিকে সোহেল মিয়া (২০) ও সন্ধ্যায় তাসলিমা (৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ৬ জনের মধ্যে সেলি বেগম নামে আরও এক নারী মারা গেছেন। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক।
এদিকে,মৃত বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজমিস্ত্রী আর স্ত্রী সেলি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন।
তিনি আরও জানান, ওই রাতে তারা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হন।
এ ইউ/
Discussion about this post