নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ড্রেন থেকে জনি সরকার নামে এক যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনির বাবা-মা সরাসরি জড়িত। পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত জনির বাবা করুনা সরকার (৫৩) ও মা অনিতা রানী সরকার (৪৮)। তারা ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এর আগে বুধবার (১৮ জুন) রাতে ফতুল্লার লালখা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় ড্রেনের ভেতর থেকে একটি বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জনি সরকারের বাবা তার ছেলের মরদেহ বলে শনাক্ত করে। ঘটনার পর নিহত জনির বাবা নিজেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, নিহত জনি সরকার একজন মাদকাসক্ত এবং বখাটে প্রকৃতির যুবক ছিলেন। তিনি প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন, সোমবার রাতেও তিনি টাকার জন্য খারাপ ব্যবহার করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, জনির বাবা ঘুমন্ত ছেলেকে প্রথমে রুটি বানানোর কাঠের বেলুন দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে অচেতন করেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করেন। পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে জনির হাত-পা বেঁধে একটি বস্তায় ভরে মরদেহ নিজেই মাথায় করে বাড়ির পাশে লালখা মোস্তফার গলির ড্রেনে ফেলে রেখে আসেন।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনির বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এম এইচ/
Discussion about this post