ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাসেম সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে বুধবার (২৩ অক্টেবার) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটি। তবে তিনি কখন মারা গেছেন তা নির্দিষ্ট করে বলেনি তারা। খবর সিএনএনের।
বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, সাইয়্যেদ হাসেম সাফিয়েদ্দিন তার জীবনের বেশিরভাগ সময় হিজবুল্লাহ, ইসলামি প্রতিরোধ ও এর সমাজের সেবায় উৎসর্গ করেছেন।
এর আগে হাসেম সাফিয়েদ্দিনকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েল। তাকে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে তিন সপ্তাহ আগে এক হামলায় হত্যা করা হয়। তবে গতকাল প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে ইসরায়েলের দাবি ছিল, সাফিয়েদ্দিন সম্ভবত তাদের হামলায় মারা গেছেন।
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, আমরা নাসরুল্লাহ, তার উত্তরসূরি ও হিজবুল্লাহর অধিকাংশ শীর্ষ নেতাদের ধরেছি। যারা ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি দেয় তাদেরও আমরা ধরব।
নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করতেন সাফিয়েদ্দিন। তিনি জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন, যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
হাসেম সাফিয়েদ্দিন হাসান নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হিসেবে পরিচিতমূলক কালো পাগড়ি পরেন।
গত মাসে লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হলে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন নেতা নিয়ে আলোচনায় আসেন হাসেম সাফিয়েদ্দিন। হাসেম সাফিয়েদ্দিনের পারিবারিক সম্পর্ক এবং নাসরুল্লাহর সঙ্গে তার শারীরিক সাদৃশ্য ছিল। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর। এ কারণে তার ধর্মীয় মর্যাদাও ছিল। এসব বিষয় হিজবুল্লাহর হাল ধরতে তার পক্ষে সহায়ক হতে পারত।
এস এইচ/
Discussion about this post