মধ্য এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশ কিরগিজস্তানে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, এই আইন ভঙ্গ করলে ২৩০ ডলার জরিমানা গুণতে হবে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ কিরগিজস্তানের আইনপ্রণেতারা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে- যেন প্রকাশ্যে মানুষের মুখ দেখা যায় এবং তাদের চিহ্নিত করা যায়।
তবে দেশটির বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এই আইনের ফলে নারীরা কী পরবে- তাদের এই স্বাধীনতা খর্ব হবে।
গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে নিকাব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছিল। তবে শেষমেশ দেশটিতে নিকাব নিষিদ্ধ হলো। এর আগে মধ্য এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে কিরগিজস্তানে স্কুল ও সরকারি ভবনে নিকাব পরিধানে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিরগিজস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ইসলামি পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। তাজিকিস্তানে হিজাব নিষিদ্ধ এবং সরকারিভাবে প্রচার চালানো হয়, যাতে নারীরা ঐতিহ্যবাহী তাজিক পোশাক পরেন। উজবেকিস্তানে সরকারি অফিস, স্কুল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ।
কাজাখস্তানে সরকারি ভবনে হিজাব নিষিদ্ধ, যদিও জনসাধারণের মধ্যে এর ওপর কোনো কড়া নিয়ন্ত্রণ নেই। তুর্কমেনিস্তানে সরকারীভাবে হিজাব নিষিদ্ধ না হলেও, কর্মস্থলে এবং অফিসে নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়।
এই দেশগুলোতে ইসলামিক পোশাক এবং দাড়ি রাখার ওপর বিভিন্ন সময়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানে পুলিশ রাস্তায় দাড়িওয়ালা পুরুষদের আটক করে জোরপূর্বক দাড়ি কাটার ঘটনা ঘটেছে।
এ ইউ/
Discussion about this post