প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকার কারণে মানুষ শান্তিতে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এভাবে মানুষের হৃদয় জয় করে মানুষের ভোট পাই। তাই আমাদের জনগণের ভোট চুরি করতে হয় না।
তিনি বলেন, বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ তাদেরকে ২০০৮ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা তারা শুধু এটাই জানে। এখন আবার নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
দুপুরের আগ থেকেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে নেতারা মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, ইউনিটের নেতারা আলাদা মিছিল নিয়ে আসছেন। ঢাকার দুই সিটির কাউন্সিলররাও লোকজন নিয়ে জনসভায় আসেন। মিছিলে ঢাকঢোল পেটানোর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু‘, ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’সহ নানান নির্বাচনী স্লোগান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরাও এসেছেন সদলবলে। এ সময় তাদের অনুসারীদের নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ জেড কে/
Discussion about this post