প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির চেয়ারে বসে আছেন নাজমুল হাসান পাপন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পর থেকে আত্মগোপন করেছেন পাপন। এদিকে এক মাস পরে লাল-সবুজের গালিচায় পর্দা ওঠার কথা রয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এমন অবস্থায় টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিসহ বিসিবি পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে।
আবারও চাইলেও বিসিবির সভাপতির চেয়ারে নতুন কাউকে বসাতে পারছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ। কারণ, বিসিবি সভাপতির পদে কাউকে বসাতে হলে আইসিসির নিয়ম মেনে বসাতে হবে। নাহলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
সচিবালয়ে প্রথম দিনে এসেই ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছিলেন, বর্তমানে বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন। তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
‘তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।’
তবে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েও নাজমুল হাসান পাপনকে সভাপতির পদ থেকে সরানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে, ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীকে। বর্তমান প্রেক্ষিতে সভাপতির অনুপস্থিতি এবং দেশের চলমান অবস্থা ব্যাখ্যা করে আইসিসির কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে সিইওকে।
সেখানে উল্লেখ থাকবে অন্তর্বর্তী এক কমিটি গঠনের আবেদন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিসির অনুমোদনে গঠন করা যাবে ক্রিকেট বোর্ডের নতুন এক কমিটি। আসবেন নতুন সভাপতি। এখানেও আইসিসিকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচিত সভাপতি আসবেন।
এ ছাড়া বোর্ড গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি দুই মাসে একটি করে পরিচালক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরপর তিন সভায় কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। সেই বিবেচনায় অন্তত ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালক ও সভাপতি থাকবেন পাপন।
এর মাঝে নিজ থেকে পদত্যাগ না করে সময়ক্ষেপণ করলে বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আর সেখানেই ইতি ঘটবে সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদের।
এ এ/
Discussion about this post