বিএনপি বোমাবাজি ও অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে অভিযোগ করে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বোমাবাজি-খুন-অগ্নিসন্ত্রাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষের জীবন কেড়ে নেবে। মানুষকে ভোট দিতে দেবে না। নির্বাচন বন্ধ করবে। এত সাহস কোথা থেকে পায়। তিনি জানান, ‘আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনে হাত পুড়ে— এটা তাদের মনে রাখা উচিত। তারা মনে করেছে, দুটো আগুন দিয়েই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ নয়।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নৌকার প্রথম নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন ‘‘নৌকা’ নূহ (আ.)-এর নৌকা। এই নৌকায় চড়িয়েই সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালা মানব জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। উন্নয়নের জন্য সেই নৌকা মার্কায় ভোট দিন। বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন’’।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস। আমেরিকা আমাদের এই সম্পদ গ্যাস ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল আমাকে। কিন্তু আমি এতে রাজি হইনি। আমি বলেছি, আমার দেশের জনগণের কল্যাণে এগুলো ব্যবহার করবো। ৫০ বছরের গ্যাস মজুত রেখে অবশিষ্ট থাকলে বিক্রি করবো। কিন্তু জনগণ যাদের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছিলেন— সেই বিএনপি আমেরিকাকে গ্যাস বিক্রয়ের মুচলেকা দিয়ে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ জন বুঝে ধন দেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যেসব স্থানে পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে সেসব স্থানেই গ্যাসের সঙ্গে তেলও পাওয়া গেছে। বিএনপির আমলে মিললে এসব তারা লুটেপুটে খেতো, কিন্তু এসব সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করছি।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে বুধবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সিলেটে পৌঁছার পরে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করার পর শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সিলেট সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম নেন। এরপর জনসভা মঞ্চে যান তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নারী-পুরুষের ঢল নামে। সকাল থেকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন তারা। এর মধ্যে নারী নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলিয়ার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়ক থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির ছাদে বসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনেন নেতাকর্মীরা।
Discussion about this post