নিত্যপণ্যের প্যাকেটের গায়ে অতিরিক্ত মূল্য বসিয়ে ইচ্ছে মতো মুনাফা উৎসবে মেতেছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোক্তাকে অন্ধকারে রেখে বাড়তি লাভের সুযোগ পাচ্ছে খুচরা বিক্রেতারাও। নেই জবাবদিহিতা কিংবা নজরদারি। বিষয়টি জানতে পেরে চমকে গেলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক। আশ্বাস দিলেন সঠিক পদক্ষেপের।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের বেশ পুরোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবদুল মতিন এন্টারপ্রাইজ। এখানে দেখা গেলো বিভিন্ন কোম্পানির দুই কেজি ওজনের আটার প্যাকেটের খুচরা মূল্য ১৩০ টাকা। কিন্তু দোকানী খুচরায় বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি প্যাকেটে বাড়তি লেখা ৪০ টাকা।
একইভাবে দুই কেজির ময়দা ও এক কেজির পোলাওর চালের প্যাকেটে ৩০ টাকা, মোটা মশুর ডালে ৭ টাকা এবং লবণের প্যাকেটে ৪ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত লেখা।
খোলা দরের প্রায় দ্বিগুণ লেখা প্যাকেটজাত হলুদ, মরিচ ও জিরার গুঁড়ার দাম। যেখানে আধাকেজির প্যাকেটে ৮০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাকে। প্যাকেটজাত এসব পণ্যে বড় বাজারে কিছুটা ছাড় পাওয়া গেলেও পাড়া-মহল্লায় লাভের পুরোটাই নিতে চান বিক্রেতারা। যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ভোক্তার।
এমন ঘটনায় হতবাক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারির ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ ভোক্তা অধিদপ্তরের ভুমিকা।
সূত্রঃ চ্যানেল ২৪
এ ইউ/
Discussion about this post