গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তার বদলে ফারুক আহমেদকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তার হাত ধরে দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তন আসবে বলে স্বপ্ন দেখেছিল ভক্তরা। কিন্তু দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি নানা বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে ফারুকের।
তাই গুঞ্জন উঠেছে বিসিবি সভাপতির পদে ফারুককে চায় না সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সরাসরি ফারুক আহমেদকে ডেকে সরকারের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফারুক নিজেই।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা কিন্তু আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। শুধু বলেছেন, আমাকে আর তারা কন্টিনিউ করাতে চান না। বর্তমানে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তার ভাষ্য, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক, কী হয়।’
এদিকে ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম। সম্প্রতি দেশের জাতীয় এক দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিবির যে কোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে আমিনুল বলেন, আমাকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনও বলা হয়নি। ১০-১৫ দিন আগে আমার সঙ্গে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাকে কোনো একটা ভূমিকায় কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে চাচ্ছেন। আমিও তাতে রাজি হয়েছি।
গতকাল রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন বর্তমান বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। সে ফারুককে বার্তা দেওয়া হয়, সরকার বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চায়। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে ফারুক দুই-এক দিন সময় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে ফারুক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে অবশ্য সরকারের জন্য বিসিবি সভাপতি পদে পরিবর্তন আনাটা সহজ হবে না। কারণ, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আইসিসির কঠোর বিধিনিষেধ আছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এ ধরনের হস্তক্ষেপে কড়া অবস্থানে থাকে এবং তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এর আগেও কার্যকর হয়েছে। অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সেসব দেশকে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এস এইচ/
Discussion about this post