রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের চেষ্টার অন্ত ছিল না। বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। নবান্নের পক্ষ থেকে বারবার আলোচনার টেবিলে ডেকেও লাভ হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের এই অনড় মনোভাবে এবার কার্যত হতাশা প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানর্জী।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, ওরা বিচার চায় না, ওরা চেয়ার চায়। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আমার চাই না। কিন্তু তিলোত্তমা বিচার পাক।
একদিকে আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবি, অন্যদিকে এই কারণেই জুনিয়র চিকিৎসকদের অনন্ত কর্মবিরতি। দুটি বিষয় অত্যন্ত স্পর্শকাতরতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। সেই রাস্তা খুঁজতে নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের ডেকে কথা বলে, তাদের দাবিদাওয়ার কথা শুনে কাজে ফেরার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনদিন ধরে নবান্নে অপেক্ষার পরও সেই সমাধান মিললো না। লাইভ স্ট্রিমিং না হলে কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজি নন আন্দোলনকারীরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমাদের সরকারকে অনেক অসম্মান করা হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় অনেক কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছে। মানুষ তিলোত্তমার বিচার চাইতে এসেছে। আশা করি মানুষ বুঝতে পারছেন ওরা বিচার চায় না। ওরা চায় চেয়ার। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।
টিবি
Discussion about this post