স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন স্বামী। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঝগড়াও চলছিল দু’জনের। অভিযোগ সেই সন্দেহের বশেই শুক্রবার (৪ এপ্রিল) স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মৃত্যু হয়। উত্তর ভারতের নয়ডায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আসমা খানের ছেলে থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নুরুল্লা হায়দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৪২ বছরের আসমা ও ৫৫ বছরের নুরুল্লা নয়ডার সেক্টর ১৫-র বাসিন্দা। দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছিলেন। আসমা দিল্লিতে থাকতেন। সেখানকার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। নয়ডার এক বেসরকারি সংস্থায় তিনি চাকরি করতেন। নুরুল্লা বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে তার চাকরি ছিল না। ২০০৫ সালে নুরুল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় আসমার। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতির ছেলে থানায় ফোন করে খুনের কথা জানান। নয়ডা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রামবদন সিংহ জানিয়েছেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পৌঁছায় পুলিশ ও তাদের ফরেন্সিক দল। ভুক্তভোগীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী। আসমার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই দম্পতির ঝামেলা চলছিল। সে কথা তাদের জানায় আসমার মেয়ে। যদিও নুরুল্লার এই কাণ্ড ‘অপ্রত্যাশিত’ বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
এস এইচ/
Discussion about this post