পরমাণু প্রকল্প ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশ্যে কিছু ‘রেড লাইন’ দিয়ে রেখেছে ইরান। অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহরাম আকবারজাদেহ এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক আলোচনা সফল করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত থাকছে, যা অগ্রাহ্য করলে পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠতে পারে।
পরমাণু ইস্যুতে রেড লাইন স্পষ্ট করল ইরান,আত্মমর্যাদায় আপস নয়
ইরান পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে একইসঙ্গে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, এই প্রকল্প কখনও সামরিক বা অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করবে না। এই স্বচ্ছতা ও সহযোগিতার বিনিময়ে ইরান পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো থেকে মুক্তি চায়। এটাই ইরানের প্রথম রেড লাইন। পশ্চিমা বিশ্ব যদি এই প্রথম রেডলাইনকে সম্মান করে, তাহলে এখনই এ ইস্যুতে একটি কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।
ইরানের দ্বিতীয় রেডলাইনটি হলো- তারা যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের ‘গুন্ডামি’র সামনে নতিস্বীকার করবে না। সংঘাতের হুমকি কিংবা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে হত্যার হুমকিকে ইরানের শাসকগোষ্ঠী এবং জনগণ ‘গুন্ডামি’ হিসেবে বিবেচনা করে।
তাই ভয়ভীতি বা অন্য কোনো কারণে ইরানের জনগণ আত্মসমর্পণ করবে, কিংবা আপসের পথ খুঁজবে- এমনটা আপনি আশা করতে পারেন না, আলজাজিরাকে বলেন শাহরাম আকবারজাদেহ।
ইরানের রেড লাইনগুলো স্পষ্ট করে দেয় যে, পরমাণু ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য দুই পক্ষেরই দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক ভূমিকা প্রয়োজন। কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে যদি এই সীমাবদ্ধতাগুলো মানা যায়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন সম্ভব। অন্যথায়, অগ্রাহ্য হলে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়বে এবং উত্তেজনা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
এম এইচ/
Discussion about this post