পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো সৌদি আরব ফেরত মানসিক ভারসাম্যহীন নারী প্রবাসী হোসনে আরা’কে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার মামা সৈয়দ মাহমুদ ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার থেকে হোসনে আরাকে নিয়ে যান।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে ইনডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি সৌদি থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। এরপর থেকেই বিমানবন্দরের ভেতরে এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি।
বিমানবন্দরে তার চলাফেরা ও কথাবার্তার অসঙ্গতি দেখে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান-এপিবিএন তাদের অফিসে নিয়ে যায়। নিজের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে না পারায় যোগাযোগ করা হয় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সাথে। পরে ওই নারীকে ব্র্যাক মাইগ্রেশন গ্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করে এপিবিএন।
পাসপোর্টে দেওয়া নাম্বারটি বন্ধ থাকার কারণে পরিবারের সাথে গতকাল যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন টীম সুনামগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের যৌথ উদ্যোগে হোসনে আরার পরিবারকে সনাক্ত করে সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
জানা যায়, মা-বাবা মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় মৃত স্বামী পরিত্যক্তা হোসনে আরা’কে পাঠিয়েছিলেন মরুর দেশ সৌদি আরব। কিন্তু সেখান থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফেরেন হোসনে আরা।
পাসপোর্টের অনুযায়ী ভুক্তভোগী ওই নারীর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খরাই গ্রামে। তার পিতার নাম, জয়নাল মিয়া। তিনি ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গৃহকর্মীর কাজে জে আর এভিয়েশন সার্ভিসের (আর.এল ২৯৩) মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
এ জেড কে/
Discussion about this post