পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদ নির্বাচন শেষ হলেও কে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কাটছেই না। অবশেষে হিসেব মিলেছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিই (পিপিপি) জোট বেঁধে সরকার গঠন করবে। আর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেই নামও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শেহবাজ শরিফ।
পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ তার ছোট ভাই শেহবাজ শরীফকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদ এবং তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পিএমএল-এন নেতাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকের পর পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে বিলাওয়ালের সমর্থন দেওয়ার ঘোষণায় ধারণা করা হচ্ছিল নওয়াজ শরিফই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এটি হলে তিনি চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন।
পিএমএল-এন এর মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব জানান, দলীয় বৈঠকে নওয়াজ শরিফ তার ভাই শেহবাজের নাম সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন শেহবাজই। প্রেসিডেন্ট পদ বজায় থাকবে বিলাওয়ালের বাবা আসিফ আলি জারদারির। বিলাওয়াল নিজে কোনও পদ নেবেন না। তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হবেন কেবল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জোট সরকার গঠনে নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এনের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৬টি আসন পেয়েছে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন জয় পেয়েছে ৭৫টি আসনে। আর বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি নিশ্চিত করেছে ৫৪টি আসন। এ অবস্থায় একটি জোট সরকার গঠনের জন্য পিপিপিসহ অন্য দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন পিএমএল-এনের নওয়াজ শরিফ।
এর আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করে পিটিআই, দলটির চেয়ারম্যান ইমরান খান হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএলএনের তৎকালীন চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ হন বিরোধী দলীয় নেতা।
২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধী এমপিদের ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। তারপর পিএমএলএন- পিপিপির সমন্বয়ে গঠিত হয় নতুন জোট সরকার এবং সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। ওই মেয়াদে ১৬ মাস দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এ এস/
Discussion about this post