কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার গুলি বিনিময় হয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্পি কঠোর পদক্ষেপের কারণে ফের যুদ্ধ বাঁধতে পারে। এমন শঙ্কার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে ভারত।
রোববার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, আরব সাগরে একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। পরীক্ষাগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সংঘটিত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চালানো হয়েছে।
দেশটি বলছে, সফল এই পরীক্ষা ভারতের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টের ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দীর্ঘ পরিসরের নির্ভুল হামলার সক্ষমতা যাচাই ও প্রদর্শনের অংশ হিসেবে প্ল্যাটফর্ম ও সিস্টেম প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে একাধিক সফল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
এছাড়া ভারতের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
এদিকে, পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানান, সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। তিনি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এস এইচ/
Discussion about this post