পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ছয়টি খাল এবং কর্পোরেট কৃষি প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠনের হাজারো কর্মী। মঙ্গলবার (২০ মে) নৌশেরো ফিরোজ জেলার মোরো তালুকে এ বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সেখানকার মহাসড়ক। এতে দুইজন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন উভয় পক্ষের কয়েক ডজন লোক। এসময় সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল হাসান লাঞ্জারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
বুধবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয়টি খাল এবং কর্পোরেট কৃষি প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য এই বিক্ষোভ ডাকা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ চলতে থাকায় বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরাও পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা করে। মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক ঘন্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ ছিল এসময়।
জাতীয়তাবাদীদের দাবি, কমপক্ষে দুইজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন পুলিশের গুলিতে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, কমপক্ষে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন সংঘর্ষে। এদের মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে হাসপাতালের বাইরে ছুড়ে ফেলে শ্রমিকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লাঠি দিয়ে মারধর এবং গালিগালাজ করছেন। অন্যদিকে, পুলিশ সদস্যরাও গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছেন।
বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিকরা কয়েকটি ট্রাকও লুট করেন এবং একটি তেলের ট্যাঙ্কারসহ তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া, সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল হাসান লাঞ্জারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় তারা। পরে মন্ত্রীর ঘর এবং আসবাবপত্রও পুড়িয়ে দেন তারা।
এদিকে, মঙ্গলবারের সহিংসতার জন্য প্রাদেশিক সরকারকেই দায়ী করছেন বেশ কয়েকটি জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা। তারা বলছেন, খাল এবং কর্পোরেট চাষের বিরুদ্ধে চলমান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে নাশকতাত রূপ দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল পুলিশ।
সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এস এইচ/
Discussion about this post