পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবারও পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া, ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটও উৎপাদনে এসেছে। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধ থাকা ৬২২ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউনিটটি ২৫ জুন থেকে বন্ধ ছিল। কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট। পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় লোডশেডিং কমবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়া কোম্পানি (বিসিপিসি) পটুয়াখালীর পায়রায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসে।
অপরদিকে ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট উৎপাদনে এসেছে। গতকাল ভোর ৫টায় ইউনিটটি চালু হয়। সকাল দশটা থেকে এই ইউনিট ৫১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ১১টা নাগাদ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৭০২ ইউনিটে। এর আগে গত শুক্রবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। কয়েক দিন থেকে কেন্দ্রটিতে আংশিক উৎপাদন হচ্ছিল। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানায়, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এটি ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। কিন্তু তার আগেই প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করেছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ২৫ জুন থেকেই দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন কমে গিয়েছিল। উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছিলেন প্রকৌশলীরা। কিন্তু গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে দেশের আবহাওয়া ভালো থাকায় অর্থাৎ বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ কমে আসায় চাহিদা কমায় বিদ্যুৎ ঘাটতির খুব একটা প্রভাব পড়েনি।
এস এম/
Discussion about this post