ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস, উদ্বেগ, মানসিক চাপের কারণে এখন অল্প বয়সেই অনেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন।এমন কি এ থেকে বাদ যাচ্ছেনা ছোট্ট শিশুরাও।
রক্তে ইনসুলিনের অভাবই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে একে একে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে কিডনি, হার্ট, চোখ ও নার্ভসহ শরীরের নানা অঙ্গ।বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ের নানা সমস্যায় বেশি ভোগেন।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে একে বলে ‘ডায়াবেটিক ফুট’ তবে জীবনযাত্রা ও খাওয়া-দাওয়ায় খানিক পরিবর্তন আনলেই ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে এমনটাই মত প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা ।তবে এজন্য প্রতিদিন নিয়ম করে করতে হবে শরীরচর্চা, আর মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট।
ঘন ঘন প্রস্রাব ও তেষ্টা পাওয়া, ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্ষত না সারা, ওজন কমে যাওয়া, ইমিউনিটি কমে যাওয়া, চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া যাওয়ার মতো কিছু প্রাথমিক লক্ষণ জানান দেয় ডায়াবেটিসের। এগুলো ছাড়াও, ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে পায়ে। এমনই কিছু লক্ষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে।
লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
১. পায়ে ব্যথা, জ্বালা, ঝিনঝিন করা, পা লাল হওয়া এবং অসাড় হয়ে যাওয়া।
২. পায়ের ঘা এবং ক্ষত না শোকানো। ঠিকমতো রক্ত প্রবাহ না হওয়ার কারণে এমন সমস্যা হয়।
রক্তনালীগুলো সরু ও শক্ত হয়ে যায় এবং রক্ত সাধারণত যেভাবে প্রবাহিত হয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে রক্ত স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হয় না।
৩. পায়ের নীচে বা বুড়ো আঙুলের নীচে ফোসকা, ঘা অথবা আলসার হওয়া।
৪. পায়ের আকৃতি পরিবর্তন হওয়া।
৫. পায়ের পাতা ভারি হয়ে যাওয়া, পা ফেলতে সমস্যা, পায়ের ত্বক শুষ্ক হওয়া, ত্বক ফাটা, গোড়ালি ফাটা, আঙুলের মাঝখানে চামড়া ফাটা, চামড়া ওঠা।
৬. ত্বকের রঙে পরিবর্তন।
৭. গোড়ালি বা পায়ে ফোলাভাব।
এস আই/প্রবাস খবর
Discussion about this post