ভারতকে প্রতিহত করতে পাকিস্তানের প্রচলিত ক্ষমতাই যথেষ্ট বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। এজন্য ভারতের স্ব-আরোপিত ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের’ কোনো প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এসব জানায় ইসলামাবাদ।
এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থার নজরদারিতে আনা উচিত। এছাড়া পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরাপদ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজনাথ। রাজনাথের এমন মন্তব্যের পর এই প্রতিক্রিয়া জানালো ইসলামাবাদ।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান এক বিবৃতিতে বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রচলিত উপায়ে পাকিস্তানের কার্যকর প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরোধের বিষয়ে তার গভীর নিরাপত্তাহীনতা এবং হতাশা প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত শাফকাত আরও বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর মন্তব্য আইএইএ-র মতো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থার ম্যান্ডেট এবং দায়িত্ব সম্পর্কে তার অজ্ঞতাও প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, যদি কিছু করতেই হয়, তাহলে আইএইএ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভারতে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয় পদার্থের বারবার চুরি এবং অবৈধ পাচারের ঘটনা নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
গত বছরই, মুখপাত্র বিশ্বকে মনে করিয়ে দেন, ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র (বিএআরসি) থেকে চুরি হওয়া তেজস্ক্রিয় ডিভাইসসহ পাঁচজন ব্যক্তি ভারতের দেরাদুনে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। পরে একদল ব্যক্তির কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় এবং বিষাক্ত পদার্থ, ক্যালিফোর্নিয়াম অবৈধভাবে রাখার ঘটনা পাওয়া যায়।
মুখপাত্র বলেন, এই ঘটনাগুলো পারমাণবিক এবং অন্যান্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের সুরক্ষার জন্য নয়াদিল্লির নেয়া ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
রাষ্ট্রদূত শাফকাত বলেন, পাকিস্তান এই ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এবং ভারতকে তার পারমাণবিক স্থাপনা এবং অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে প্রায় তিন দশকের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের সবচেয়ে খারাপ সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটে। এই সংঘাত বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
এর আগে পহেলগামে হামলার জেরে পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালানোর দাবি করে ভারত। এরপর পাকিস্তানও ভারতে পাল্টা হামলা চালালে সংঘাত শুরু হয়।
সূত্র: জিও নিউজ
এম এইচ/
Discussion about this post