ইসরায়েল ও ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইয়েমেনের তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতি বিদ্রোহীরা।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোরে ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় বলে জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সফলভাবে ভূপাতিত করা গেছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জেরুজালেমের দক্ষিণাঞ্চলীয় এটজিওন ব্লক ও হেবরনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।
এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসব স্থানে হামলার আগে বন্দর ও আশপাশের এলাকা খালি করার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করে আইডিএফ।
হুতি-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আল-মাসিরা জানায়, ইসরায়েল হুদাইদা শহরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে। এদিকে, রবিবার হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলাকে তিনি ‘সম্পূর্ণরূপে সফল’ বলে দাবি করেন এবং জানান, এতে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, গাজায় চলমান সংঘাতের জেরে হুতি গোষ্ঠী এর আগেও একাধিকবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এস এইচ/
Discussion about this post