বিদেশ থেকে দেশে ফেরাদের মোটাদাগে অভিযোগ ছিল হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে। এই অভিযোগ প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছেই শোনা যেত। বিশেষ করে প্রবাসীদের সাথে যা তা ব্যবহার করা হতো। ফ্লাইট থেকে বিমানবন্দরে নেমে ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো। এরপর লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু আশর্চায বিষয় হল, অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে পাল্টে গিয়েছে বিমানবন্দেরের যাত্রী সেবার মান।
যাত্রীদের কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই ফ্লাইট অবতরণের অল্প সময়ের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। বেল্টে যাওয়ার আগেই লাগেজ পৌঁছে যাচ্ছে। আগে যে লাগেজের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষ করতে হতো। এখন আর সেটা নেই।
শুধু তাই নয় বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফ্রিতে টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে। একই সাথে বিমানবন্দরের কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যাত্রীদের সাথে ভালো আচারণ করছেন।
হঠাৎ বিমানবন্দরের এমন আমূল পরির্বতনে খুশি যাত্রীরা।
প্রবাসীরা জানায়, আগে বিমানবন্দরে লাগেজ পেতে ভোগান্তি পোহাতে হতো।অনেক সময় লাগেজ ভেঙে ফেলার মতো ঘটনা ঘটতো। মালামাল চুরিরও হতো। এবার তেমন কোনো ভোগান্তি নেই।
যাত্রীরা জানায়, দেশে ফিরে অনেক প্রবাসীর কাছে সিম থাকে না। পরিবারের কেউ বিমানবন্দরে এলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বা খুঁজে বের করতে কষ্ট হতো। এখন, বিমানবন্দরের ভেতরে যাত্রীদের জন্য আলাদা আলাদা স্থানে টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ টেলিফোন ব্যবহার না জানলে সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করছেন। এছাড়া ফ্রি ওয়াইফাই আছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এমন আন্তরিকতা আগে দেখেনি কেউ।
বেবিচক চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, গত আগস্ট থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবায় যে পরিবর্তন লেগেছে, তা যেন অব্যাহত থাকে সে জন্য প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দর পরির্দশন করা হচ্ছে। তার দাবি শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিশ্বমানের সেবা পাবেন যাত্রীরা।
টিবি
Discussion about this post