বাংলাদেশে পাসপোর্ট করাতে আর পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। এর ভালো-মন্দ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুক্টিং এজেন্সির (বায়রা) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটার দুটো দিক আছে। একটা হলো, পাসপোর্ট হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়ায় আমাদের হয়ত কর্মী সিলেকশন হয়ে গেছে, কিন্তু সময়মতো তাকে পাঠাতে পারি না। পাসপোর্ট হলো অধিকার। কারো জন্ম সনদ থাকলে পাসপোর্ট পেতে তার বাধা থাকা উচিত না। পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন হয়? সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিনা- এইটা আরেকটা দিক।
রাষ্ট্র যেটা বিবেচনা করছে, তার বিরুদ্ধে যদি কোনো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ থাকে তার জন্য থানা আছে, পুলিশ আছে, আইন আছে। এর জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। আমার যেমন জন্ম সনদ পাওয়ার অধিকার আছে, তেমনি পাসপোর্ট পাওয়ারও অধিকার আছে। পাসপোর্ট পাওয়ার অর্থ এই নয় যে, আমি আইনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছি। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ না থাকে, তাহলে এই সিদ্ধান্তের ফলে আমার বাইরে যাওয়াটা আরো সুন্দর হবে। আমাদের দেশ থেকে কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত সময় বেশি লাগে। এর মধ্যে পাসপোর্টও একটা কারণ। এই সিদ্ধান্তের ফলে নাগরিক অধিকার আরো প্রতিষ্ঠিত হবে।
এম এইচ/
Discussion about this post